বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৬ অপরাহ্ন
লকডাউন আবার দিতে হলে যা ভাবতে হবে-
* সত্যিকার অর্থে implement করা কী যাবে নাকি ঢিলেঢালা নামমাত্র চলবে! ঢিলেঢালা লকডাউনে লোকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় গিয়ে সংক্রমণ আরও বাড়াতে পারে। এবার কিন্তু গতবছরের অবস্থা নেই। গতবার সংক্রমণের হার কম ছিল। কিন্তু এবার কোভিডের নতুন ভ্যারাইটিতে সংক্রমণ প্রবণতা অনেক বেশি।
* প্রায় ৪ কোটি দরিদ্র মানুষের (এর মধ্যে প্রায় ১ কোটি ৭০ লক্ষ অতি দরিদ্র) মানুষের খাদ্য নিরাপত্তার প্রস্তুতি থাকতে হবে। গতবারের মানুষের হাতে সঞ্চয় ছিল, এখন কিন্তু স্বল্প আয়ের মানুষের হাতে সঞ্চয় কম। কাজেই সত্যিকারের লকডাউনে গেলে অনেক বেশি সংখ্যক মানুষের সাহায্য দরকার হবে। এত মানুষের দায়ভার নেয়ার প্রাতিষ্ঠানিক ও আর্থিক সক্ষমতা আমাদের আছে কি?
*অতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের প্রতিষ্ঠানগুলো বাঁচিয়ে রাখার উপায় কি হবে? গত এক বছরে যারা ঝণ নিয়েছেন তারা ব্যবসা-বাণিজ্য এখন না করলে ফেরত দিবেন কি করে ? আর এই ধরনের প্রতিষ্ঠান সমস্যায় পড়লে সাধারণ মানুষের কর্মসংস্থানের উপায় কি হবে তা ভাবতে হবে।
*নিম্ন মধ্যবিত্ত, টানাটানিতে চলা লোকজন কারো কাছে হাত পাততে পারবেন না কিন্তু খাদ্য কষ্টে থাকবেন।
*যে ক’দিনের লকডাউন দিলে সত্যিকার অর্থেই তা করোনার সংক্রমণ মোকাবেলায় কার্যকর হবে, ততদিন পর্যন্ত লকডাউন দেয়ার সক্ষমতা না থাকলে অল্প দিনের লকডাউন দিয়ে জীবনেরও তেমন লাভ হবেনা, জীবিকাও হবে ক্ষতিগ্রস্ত । তখন করোনার সাথে সাথে অভাবে পরেও মানুষের জীবনের ঝুঁকি বাড়তে পারে। এগুলো ভেবেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
*আমার মতে সকল প্রকার সভা-সমাবেশ জনসমাগম বন্ধ করে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মানা নিশ্চিত করতে হবে। সংক্রমণ প্রতিরোধমূলক মাস্ক সাবান ইত্যাদি ব্যাপকভাবে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিতরণ করতে হবে। এই সংক্রান্ত প্রচার প্রচারণা জোরদার করতে হবে। স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের সহযোগিতায় গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত সচেতনতা বৃদ্ধি কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। সর্বোপরি স্বাস্থ্যবিধি মানা কঠোরভাবে ইমপ্লিমেন্ট করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নিতে হবে।
লেখকঃ অর্থনীতিবিদ।
লেখাটি ফেসবুক থেকে নেয়া।